মনসামঙ্গল কাব্য প্রথম লেখা হয় আনুমানিক দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী নাগাদ। ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা কানা হরিদত্ত লেখেন সেই কাহিনি। অথচ কাহিনির নায়ক চাঁদ সওদাগর বা চন্দ্রধর বণিক কিন্ত দ্বিতীয় শতাব্দীর মানুষ। অর্থাৎ চাঁদ বণিকের মৃত্যুর প্রায় এক সহস্রাব্দ পরে প্রথমবার মনসামঙ্গল লেখা হয়। এক হাজার বছরে লোকমুখে চাঁদ ও মনসা কিংবদন্তি হয়ে গেছেন। তারপর আজ পর্যন্ত মনসামঙ্গল এর কাহিনি বিভিন্ন ভাবে লিখেছেন ৬৫ জনেরও বেশি কবি। স্থান, কাল, কাহিনি পরিবর্তিত হয়েছে যুগে যুগে। মনসাবিজয় আদিতম মঙ্গলকাব্যের বিনির্মাণ। এই কাহিনি দেবতার নয় মানুষের। মানবী থেকে দেবী হয়ে ওঠার কাহিনি। অলৌকিকের যথাসম্ভব যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা ও উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে পদ্মাবতী ও চন্দ্রধর বণিকের প্রতিস্পর্ধার কাহিনিকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা।